ঢাকাসোমবার , ১৯ মে ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি-সংবাদ
  7. খেলা-ধুলা
  8. চাকরি-খবর
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাত্রা
  11. তথ্য ও প্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. দুর্নীতি
  14. ধর্ম
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গুরুদাসপুরে চাহিদার চেয়ে ৫০ হাজার বেশি কোরবানি পশু প্রস্তুত

Link Copied!

কোরবানির জন্য গবাদিপশু প্রস্তত করছেন খামারিরা। তাদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য বাড়ছে। বাড়ছে গো খাদ্যের দোকানে ভিড়। সম্ভাব্য কোরবানিদাতারাও কোরবানির পশু কিনতে সাধ্যমত অর্থের যোগানে ব্যাস্ত। ভাগে কোরবানি দেওয়ার জন্য ছুটছে সমমনা ভাগিদারের খোঁজে।

জানা গেছে, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় প্রতিবারের মত এবারো আসন্ন ইদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য ৯৭ হাজার ৮৯৪টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করছেন খামারিরা। উপজেলায় এবারে কোরবানির চাহিদা ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৯৭০ টি। চাহিদার চেয়ে আরো ৪৯ হাজার উদ্বৃত্ত্ব কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু প্রস্তত করছেন খামারিরা। উদ্বৃত্ত কোরবানিযোগ্য পশু উপজেলার বাইরে বিক্রি করতে পারবেন। ভালো দামের আশায় গবাদি পশুকে হৃষ্ট-পুষ্ট করতে খামারিরা পরিবারের সকল সদস্য এবং রাখালরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করছেন। খামার মালিকরা মোবাইলে, অনলাইনে খুজছেন নিরাপদ ও ভালো হাটের। যোগাযোগ করছেন বেপারিদের সাথে। ইতিমধ্যেই অনেক খামারিরর সাথে যোগাযোগ করে আগাম দরদাম ঠিক করে বায়না বায়না দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন খামার –বেপারি।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান জানান, গত সপ্তাহে সর্ব শেষ জরিপে উপজেলায় ২ হাজার ৭৫০ জন খমারি (বাণিজ্যিক খামার নিবন্ধিত ২০টি এবং অনিবন্ধিত ৫২০ টি) খামারে ৯৭ হাজার ৮৯৪টি। এর মধ্যে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু প্রস্ততি চলছে, গরু ৩৪ হাজার ২১১ টি মহিষ ৮৫৪ টি , ছাগল ৫৬ হাজার ৭৪৮ টি , ভেড়া ৬ হাজার ৫২ টি এবং অন্যান্য ২৯ টি। এসব পশুর বাজারমূল্য অন্তত প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। এবার গুরুদাসপুর উপ জেলায় প্রায় ৪৭ হাজার ৯৭০টি কোরবানির পশু জবাই হবে বলে আশা করছে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ। এবারে গুরুদাসপুর উপজেলায় চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত আরও সাড়ে ৪৯ হাজার ৯২৪ টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান আরও জানান, বিগত ২০২২ সালে কোরবানিযোগ পশু প্রস্তত হয়েছিল ৮৪ হাজার, চাহিদা ছিল ৩৭ হাজার, ২০২৩ সালে প্রস্তত চিল ৮৮ হাজার, কোরবানি হয়েছিল ৩৮ হাজার, উদ্বৃত্ত পশু ছিল৪৯ হাজার। কোরবানির দিন এগিয়ে আসার সাথে বানিজ্যিক খমার এবং পশুর সংখ্যাও বাড়বে । আগামি সপ্তাহে চুড়ান্ত জরিপ করে কোরবানির পশুর সর্বশেষ সংখ্যা জানা যাবে।

এব্যাপারে বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের খামারি রেজাউল করিম জানান, তিনি আসন্ন কোরবানির জন্যে ২০ টি উন্নত জাতের ষাঁড় প্রস্তত করছেন।কিন্তু বাজারে গো খাদ্যের দাম এবং রাখালের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় খামার ব্যবস্থাপনার খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। কোরবানি পর্যন্ত খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভের চেয়ে লোকসানের আশংকায় আছেন। বর্তমান ১ কেজি গমের ভূষি বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৬০-৭০ টাকা। খুদ ,ভুট্রা , খৈলসহ অন্যান্য খাদ ও ব্যবস্থাপনা খরচও অনেক বেড়েছে। তাই খামার পরিচালনার ব্যয় বহন করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। খামারি হাজি সাখাওয়াত হোসেনসহ আরো কয়েকজন কামারি বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করে তাদের মত জানান।।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা গো খদ্যের মুল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বলেন, বাজারে সব ধরনের গো খাদ্যের দাম বেড়েছে। তাই কৃষক ও খামারিদের গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর উপড় জোর দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির পশুর দামও বেড়ে যাবে। এছাড়া কোরবানির জন্য প্রস্ততকৃত গবাদি পশুর স্বাস্থ্য , খাবার, রক্ষনাবেক্ষন ও পরিবেশগত সার্বিক ব্যবস্থাপনা সার্বক্ষনিক মনিটরিং ও পরামর্শি দিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ অফিসের ডাক্তার ও মাঠপর্যায়ের কর্মি এবং স্বচ্ছাসেবিবৃন্দ।

# সাংবাদিক ও কলামিষ্ট, আবুল কালাম আজাদ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।