নাটোরের গুরুদাসপুরে অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশ ।
অপহরণকৃত রুহুল আমিনকে (৫০) মঙ্গলবার রাতেই গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপহৃতের ছেলে সবুজ থানায় বাদী হয়ে নারীসহ ওই চক্রের ১৮ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মজিবর ইসলামের ছেলে রাসেল ইসলাম (২২), আবু বক্করের ছেলে যুবদল কর্মী সাবিদুল ইসলাম (৪০) ও মজিবর শেখের ছেলে মিঠুন (২৫)। এছাড়া রাসেলের বিরুদ্ধে সিএনজি ছিনতাইসহ হত্যা মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও এজাহার সুত্রে জানা যায়- মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে গুরুদাসপুর থানার অদুরে কামারপাড়ায় মোফাজ্জলের পরিত্যক্ত বাড়িতে রুহুল আমিনকে অপহরণ করে চক্রটি। তাকে বিবস্ত্র করে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। অপহৃত রুহুল আমিন উপজেলার খামারপাথুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মঙ্গলবার থানা সংলগ্ন গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল শুনতে এলে ওই চক্রের জনৈক নারী সদস্য দিয়ে তাকে অপহরণ করে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে নেয়া হয়। ওই নারীর সাথে রুহুল আমিনকে অপত্তিকর অবস্থায় বেআইনিভাবে ভিডিও ধারণ করা হয়। রুহুল আমিন মুক্তিপণের টাকার জন্য ছেলে শরিফুল ইসলাম সবুজকে ফোন করলে তিনি কৌশলে পুলিশের স্মরণাপন্ন হন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুলহোতা রাসেলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকীরা পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর এই অপহরণ চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। তারা অপহরণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তাদের গ্রেপ্তারে এলাকার অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। অপরাধীদের গ্রেপ্তারপূর্বক কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রুহুল আমিনের স্ত্রী শিরিনা বেগম।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, এই অপরাধ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।