গুরুদাসপুরে ২০২৬ শিক্ষা বর্ষে ৩,৮৮,৬০০ বিনামুল্যের পাঠ্য বইয়ের চাহিদা
এক বছরে কমেছে ১৬৫০ শিক্ষার্থি এবং ৬৪,৭৬০ টি বইয়ের চাহিদা ?
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় আগামি ২০২৬ শিক্ষা বর্ষে ৫১ হাজার ৪’শ শিক্ষার্থির জন্য ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬ ‘শ বিনামুল্যের পাঠ্য বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যে জানা গেছে। ২০২৫ শিক্ষা বর্ষে এই চাহিদা ছিল ৫৩ হাজার ৫০ শিক্ষার্থির জন্য ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬০ টি, যা ২০২৫ সালের চেয়ে ১ হাজার ৬৫০ জন শিক্ষার্থি কম দেখিয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য ৬৪ হাজার ৭৬০ টি কম বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছে । এর মধ্যে শুধুমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়েই কমেছে ১ হাজার ৪ শ শিক্ষার্থি এবং ৫৮ হাজার ৮ শ টি বই।
উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, উপজেলার মাধ্যমিক ৩১ টি, দাখিল মাদ্রাসা,১৬ টি, কারিগরি ৯ টি, প্রাথমিক ৯২ টি, কেজি ৩৫ টি এবং এনজিও ২৪ টি ( ১৫১ টি )সহ মোট ২০৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য ৫১ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থির জন্য ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ বিনামুল্যের পাঠ্য বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে,মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনির ৩০০ শিক্ষার্থির ৪২ হাজার ৫০০ টি বই, ৭ম শ্রেনির ৩ ৫০০ শিক্ষার্থির ৩৮ হাজ়াড় ৫০০ টি, ৮ম শ্রেনির ৩৪০০ শিক্ষার্থির ৩৭ হাজার ৪০০ এবং ৯ম শ্রেনির ৩২০০ শিক্ষার্থির ৪১ হাজার ৯০০ টি সহ মোট ১৪ হাজার শিক্ষার্থির ১ লাখ ৬০ হাজার ৩০০ টি বই। ২০২৫ এর চেয়ে ১৪০০ শিক্ষার্থি এবং ৫৮ হাজার ৮০০ টি বই কম।
দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনির ৮০০ শিক্ষার্থির ১০ হাজার ৪০০ টি, ৭ম শ্রেনির ৭০০ শিক্ষার্থির ৯হাজার ১০০ টি, ৮ম শ্রেনির ৬০০ শিক্ষার্থির ৭ হাজার ৮০০ টি এবং ৯ম শ্রেনির ৬০০ শিক্ষার্থির ৮হাজার ২০০ টিসহ মোট ২৭০০ শিক্ষার্থির ৩৫ হাজার ৫০০ টি বই।২০২৫ এর চেয়ে ১০০ শিক্ষার্থি এবং ৪হাজার ৮০০ বই কম।
কারগরির ২ হাজার শিক্ষার্থির ৩৭ হাজার ৪০০ টি বই। ২০২৫ এর চেয়ে ২০০ শিক্ষার্থি এবং ১হাজার ৪৬০ টি বই কম।
এবতেদায়ীর ১ম শ্রেনির ১ হাজ্র ৫০০ শিক্ষার্থির ৯ হাজার টি, ২য় শ্রেনির ১৪০০ শিক্ষার্থির ৮হাজার ৪০০ টি, ৩য় শ্রেনির ১৩০০ শিক্ষার্থির ১০ হাজার ৪০০ টি, ৪র্থ শ্রেনির ১২০০ শিক্ষার্থির ৯ হাজার ৬০০ টি এবং ৫ম শ্রেনির ১১০০ শিক্ষার্থির ৮হাজার ৮০০ টি সহ মোট ৬হাজার ৫০০ শিক্ষার্থির ৪৬ হাজার ২০০ টি বই। এবং-
১৫১ টি প্রাথমিকে প্রাকপ্রাথমিকে ৩ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থির ৩হাজার ৯০০ টি , ১ম শ্রেনির ৪ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থির ১৪হাজার ৪০০ টি, ২য় শ্রেনির ৪৭০০ শিক্ষার্থির ১৪ হাজার ১০০ টি, ৩য় শ্রেনির ৪৭০০ শিক্ষার্থির ২৮ হাজার ২০০ টি, ৪র্থ শ্রেনির ৪হাজার ২০০ শিক্ষার্থির ২৫ হাজার ২০০ টি এবং ৫ম শ্রেনির ৩ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থির ২৩ হাজার ৪০০টি বই। এবতেদায়ী এবং প্রাথমিকের চাহিদ ২০২৫ এর সমান।
২০২৫ সালের চেয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে এক বছরেই ১ হাজার ৬৫০ শিক্ষার্থি কমে যাওয়া বা ঝরে পড়ার করণ জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সেলিম আকতার জানান, গত বার্ষিক পরিক্ষায় উত্তীর্ন এবং ভর্তি শিক্ষার্থিদের সংখ্যানুপাতে কম দেখানো হয়েছে। বাল্য বিবাহ, পরিবারের উপার্জন কর্মে নিয়োজিত, নতুন কারিকুলাম বুঝতে নাপারায় তারা ঝরে পরেছে। বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও একই মন্তব্য করেণ।
এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন মন্তব আছে কিনা জবাবে বলেন, মন্তব্যের কোন কলাম না থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নাই। এ ছাড়া ঝরে পড়া বালক-বালিকার সংখ্যা কত তাঁর কাছে কোন তথ্যনাই। তবে আগামি বছরে এ দুইটি কলাম সংযুক্ত করবেন বলে জানান।
# আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট।