তিন ফসলি জমি নষ্ট করে প্রতি বছরের একাংশে শুরু হয় পুকুর খননের মহোৎসব। তবে পুকুর খননের এই মহামারী আকার ধারন করার আগেই কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন। এরইমধ্যে অবৈধভাবে পুকুর খননের অপরাধে শুরু হয়েছে জেল-জরিমানা।
অবৈধভাবে পুকুর খননের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুবারপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন। এসময় ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে পুকুর খননের দায়ে ৩ জনকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ। এর দুইদিন পুর্বেই নাজিরপুর এলাকায় পুকুর খননের দায়ে আরো একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ বলেন, অবৈধভাবে পুকুর খনন করে কোনোভাবেই গুরুদাসপুরের ফসলি জমি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন তিনি। সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।