নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা এলাকা থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী জুঁইয়ের (৭) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তার বাড়ি থেকে দুই শত গজ অদুরে রামপুর গ্রামের এক ভুট্টা ক্ষেতে থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ভিকটিম জুঁই, উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের মেয়ে ও গাড়ফা উত্তরপাড়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। সে ১৪ এপিল সোমবার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে আনুমানিক তিন শত গজ দুরে একই গ্রামের দাদীর বাড়িতে য়ায়। সন্ধ্যার সময় নিজ বাড়িতে আসার জন্য দাদী বাড়ি থেকে রওনা হয়। দাদী মনে করে জুঁই বাড়িতে মায়ের কাছে পৌছে গেছে।
অপরপক্ষে ভিকটিমের মাতা মনে করে রাতে দাদীর কাছে রয়ে গেছে। পরদিন মঙ্গলবার নয়টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য মাতা তার খোঁজ করতে যায় দাদীর কাছে। তখন দাদী বলে সন্ধ্যার সময় জুঁই বাড়িতে রওনা হয়েছিল। এরপর থেকে অনেক খোঁজা-খুজির পর ভিকটিমের নিজ বাড়ি থেকে আনুমানিক দুই শত দুরে চাটমোহরের হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের এক ভুট্টা ক্ষেতে তার মুখমন্ডল ঝলসানো, পরণের পেন গলায় পেঁচানো ও মরদেহ বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে শারীরিক নিযাতন করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদশীরা অনুমান করছেন।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনজুরুল হক জানান, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে পাবনা হাসপাতাল মগে পেরণ করা হবে। পরে হত্যাকান্ডের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।