ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি-সংবাদ
  7. খেলা-ধুলা
  8. চাকরি-খবর
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাত্রা
  11. তথ্য ও প্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. দুর্নীতি
  14. ধর্ম
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাদারীপুরের ডাসারে তিন প্রতিবন্ধী বোনের আর্তনাদ

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর
ডিসেম্বর ৫, ২০২৪ ১:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব দর্শনা গ্রামের উম্মি বেগম (৬২), আকিতন (৫৫) ও নুন নাহার (৩৯)। আর-দশটা শিশুর মত তারাও স্বাভাবিকভাবেই জন্ম গ্রহন করেন। কিন্তু জন্মের কয়েক বছর পরই অজানা এক রোগে আক্রান্ত হয়ে তারা সবাই শারীরিক প্রতিবন্ধীতে পরিনত হয়।

গত একযুগ আগে পিতা সুলতান হাওলাদার ও মাতা জাহেরা বেগমের মৃত্যুর পর অসহায় হয়ে পরে তাদের পরিবার। এলাকাবাসী তাদের সাহায্য সহযোগিতা করলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় তাদের বেঁচে থাকা দুরূহ হয়ে পরেছে। পরিবারের উপার্জনক্ষম কোন পুরুষ না থাকায় পাড়া প্রতিবেশী সামান্য সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

নানা রোগে আক্রান্ত আকিতন নেছা শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়া আগের মতো মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য যেতেও পারে না। আকিতন নেছা প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও পরিবারের অন্য দুজন সদস্যের ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সরকারী কোন সহায়তা। ফলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই সময়ে অর্থকষ্টে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের।

উম্মি বেগম মুখ জড়তা নিয়ে বলেন, আমাগো কিচ্ছুই নাই আমরা তিনডা বুইন এমুনই, আমাগো সাহায্য করেন। আরেক বোন নূননাহার বলেন, আমাগো কিছু নাই, কেউ কিছু দিলে খাই না দিলে না খাইয়া থাকি। আপনেরা আমাগো কিছু দিয়া যান।

বাড়ীর প্রতিবেশী ইউনুস হাওলাদার জানান, আমরা ছোট কাল থেকে দেখতেছি এরা তিনটা প্রতিবন্ধী বোন অসহায়। মানুষের সাহায্য সহযোগীতায় তারা কোন রকম বেঁচে আছে। আমরাও তাদের যথাসাধ্য সাহায্য সহযোগীতা করি। তারা তিনটা বোনই যদি প্রতিবন্ধী ভাতা পেত তাহলে তাদের বাঁচার একটা অবলম্বন হতো।

উম্মি বেগমের ছোট চাচা মো. তৌয়ব হাওলাদার বলেন, আমার বড় ভাই মৃত্যুর পর প্রতিবন্ধী তিনটি বোন অনেক অসহায় হয়ে পরেছে। মানুষের সাহায্য সহযোগীতায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রতিবন্ধী এই পরিবারটিকে সরকারী সহযোগীতার পাশাপাশি সমাজের বৃত্তবানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আহবান জানান তিনি।

ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম সিকদার জানান, আমার ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী এই পরিবারটিকে আমি নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছি। ওএমএস এর চাউলের একটা নাম দিয়েছি। সরকারী যত সহযোগীতা দেয়ার পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাদের পাশে থাকবো।

এ বিষয়ে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, আমি দেখলাম প্রতিবন্ধী পরিবারটি আসলেই অসহায়। প্রশাসন অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়াবে। আমি শুনেছি তাদের একজন মাত্র প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। বাকি দুজনকে অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনা হবে। সাময়িকভাবে পরিবারের জন্য যথা সম্ভব তাদের সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে তারা যদি সেটা চালিয়ে নিতে পারে তাহলে আমরা সে ব্যবস্থাও করবো।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।