ঢাকামঙ্গলবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি-সংবাদ
  7. খেলা-ধুলা
  8. চাকরি-খবর
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাত্রা
  11. তথ্য ও প্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. দুর্নীতি
  14. ধর্ম
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাসুমা আর নেই

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫ ১২:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন গুরুদাসপুরের মেয়ে সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম (৩০)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ‘এখন টেলিভিশনের’ রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টারের দায়িত্বে ছিলেন।

নিহত সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের নারায়ণপুর মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর জব্বারের মেয়ে। মাসুমা রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন। মাসুমা পড়াশোনা অবস্থায় সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। গত বছর তিনি বেসরকারি টেলিভিশন ‘এখন’-এর রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টারের দায়িত্ব নেন। সংসার জীবনে মাসুমার ১২ বছর বয়সি একটি ছেলে রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, স্বামীর সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় তার আত্মিয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন মাসুমা। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমল্লিার নূরজাহান হোটেলের সামনে দুর্ঘটনাকবলিত হন। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সিএনজির চালকের সাথে কথা বলার সময় যাত্রীবাহি একটি দ্রুতগামী বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম, তার স্বামী সৈকত ইসলাম ও সিএনজি চালক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাসুমা ও তার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঢাকা মেডিকেলে অবস্থার অবনতি হলে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সঙ্গাহীন অবস্থায় চারদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন এই সাংবাদিক। মৃত্যুর কাছে হেরে গিয়ে মঙ্গলবার চিরঘুমে চলে যান সাংবাদিক মাসুমা। তার স্বামী সৈকত ইসলাম বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, সাংবাদিক মাসুমার মরদেহ প্রথমে রাজধানীর বাবর রোডের মারকাজুল ইসলামে  সকাল ১০ টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানে থেকে তাকে তার গুরুদাসপুরের নিজ বাড়িতে আনা হয়। গুরুদাসপুরে বিকেল সাড়ে ৫টায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে নারয়াণপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

নিহত সাংবাদিক মাসুমার পিতা আব্দুল জব্বার বলেন, দুই সন্তানের মধ্যে মাসুমা দ্বিতীয়। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে তারা নিরব নির্বিকার। মাসুমার সন্তানও মাকে হারিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।