ধর্ষণের শিকার হয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া সেই কিশোরী ও তার কন্যা সন্তানের পাশে দাঁড়িয়েছেন গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ। শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে নগদ অর্থ, ঈদের বাজার এবং জামাকাপড় তুলে দেন।
শুক্রবার ২৭ মার্চ বাড়িতে বসে দেড় বছর বয়সি শিশুটিকে কোলে নিয়ে ওই কিশোরী (১৩) জানায়, মা অন্যত্র বিয়ে করেছেন অনেক আগেই। পিতা থেকেও নেই। দাদির কাছে খেয়ে না খেয়ে বড় হচ্ছিল সে। এর মধ্যে খারাপ কাজের শিকার হয়ে তার কোলে ধর্ষকের শিশু। কোলের শিশুটিকে নিয়ে কঠিন বিপদ তাদের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতা পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে ওই কিশোরী জানায়, ইউএনও’র সহযোগিতা পাওয়ায় তারা স্বাচ্ছন্দে ঈদ করতে পারবে। তাদের পাশে দাঁড়ানোয় ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা তার।
সম্প্রতি ‘ধর্ষকের সন্তান লালন করতে গিয়ে বিপর্যস্ত জীবন কিশোরীর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি ইউএনও’র নজরে আসে। এরপর কিশোরীর পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেন নির্বাহী কর্মকর্তা।
ওই কিশোরী জানায়, ঘটনার দিন শুক্রবার ছিল। দুপুরে গোসলের পর বাড়ির ভেতর কাপড় পরিবর্তন করছিল সে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষক জাহিদুল পেছন থেকে তাকে জাপটে ধরে মুখে গামছা পেঁচিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর সে অন্তঃসত্তা হয়ে কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। সন্তানের বয়স এখন প্রায় দেড় বছর। মামলাটিও স্বাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে আছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ জানান, ওই কিশোরী ও শিশুর পাশে দাঁড়াতে পেয়ে তিনিও আনন্দিত। পরিবারটির আর্থিক অনটন দূর করতে এই সহায়তা ছাড়াও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
ওই কিশোরী ছাড়াও এদিন দুটি মাদরাসায় ঈদ উপহার হিসেবে ১০ ছাত্র পাগরি, পাঞ্জাবি-পাজামা দেওয়া হয়। নগদ অর্থ, নতুন কাপড়সহ নানা ধরণের সহায়তা দেওয়া হয় অসুস্থ্য আব্দুল হাকিম ব্যপারী ও তার শয্যশায়ী স্ত্রীকে। এছাড়া আশ্রয়ণের বাসিন্দা এবং কৃষি শ্রমিকদেরও নতুন কাপড় দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।