পিতা-মাতার পর ছাত্র-ছাত্রীদের পরবর্তী অভিভাবক হলেন শিক্ষক। তবে ওই শিক্ষকই যদি হয়ে উঠে ছাত্রীর অশ্লীলতার কারণ তাহলে স্কুল ছাত্রীরা নিরাপদ কোথায়। বলছি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর মরিয়ম মেমরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ এর কথা।
ওই স্কুল শিক্ষক ফিরোজের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী, ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা, ফিরোজের দ্রুত বিচার, ফিরোজ বাহিনী কর্তৃক মারপিট, হামলা, মামলাসহ নানা অপতৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
জানাযায়, স্কুল শিক্ষক ফিরোজ ২০২২ সালে তারই স্কুলের এক ছাত্রীকে অপহরণ পূর্বক ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩ মাস ২২ দিন কারাভোগও করেছিলেন ফিরোজ আহমেদ। এর পর জামিনে মুক্তি পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মারপিটের হুমকি, মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন ফিরোজ।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, আমার মেয়ের সাথে ফিরোজ যে অশ্লীলতা করেছে তার বিচার চাই। এছাড়া ফিরোজ আমাকে বিভিন্নভাবে মারপিটের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আবার আমাদের নামে ৩টি মিথ্যা মামলাও দিয়েছে। আমি তার দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।
মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা জানান, আমাদের সন্তানরা যদি স্কুলে গিয়েও নিরাপদ না থাকে তাহলে আমরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবো কি করে। এছাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে ছাত্রীর সাথে এমন অশ্লীল কাজ করেও কিভাবে সে ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক থাকে। এছাড়া কিভাবে সে ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি পায়। আমরা তার দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই। যেনো পরবর্তীতে কোনো শিক্ষক এমন কার আর না করে। তারা আরো জানান ধর্ষক ফিরোজ বর্তমানে বিভিন্নভাবে তাদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং তাদের আত্মিয়স্বজনরা নাজিরপুর বাজারে যেতে পারছে না। তাদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা ফিরোদের দ্রুত বিচার চাই। আমাদের পরিবারের নিরাপত্ত চাই।