পরিবেশ রক্ষার জন্যে ৪১ টি প্রকল্পে বড়াল ও করতোয়া নদীর অনুমোদন দেওয়ায় চলনবিলবাসির অভিনন্দন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় অধিকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণ ও নদী ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের মধ্যে ঐতিহাসিক চলনবিলের প্রাণ বড়াল ও করতোয়া নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে বাঁধ অপসারণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহন করায় চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদাষ্টা অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ান হাসানকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বড়াল, করতোয়া, ও চলনবিলসহ সকল নদ-নদি প্রাকৃতিক প্রবাহে প্রান ফিরে আসুক। আবারও মাছ-পাখির কলতানে ভরে উঠূক। এই কামনা করি।
এসব উদ্যোগের সারাংশ নিচে তুলে ধরা হলো:
১। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড: বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে মোট ৪১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
২। নদনদীর তালিকা চূড়ান্তকরণ: দেশের সব নদনদীর একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে নদী সংরক্ষণে সহায়ক হবে।
৩। Blue Network ধারণা: বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সহায়তায় Blue Network কর্মসূচির অধীনে ঢাকার তুরাগসহ মোট ৪টি নদী ও ২০টি খাল পুনরুদ্ধারে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে এবং এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
৪। নদী উদ্ধারে সরকারি উদ্যোগ: সুতাং, হাড়িয়ারচর ও লবণদহ নদী উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
৫। বাঁধ অপসারণ ও প্রবাহ ফিরিয়ে আনা: বড়াল ও করতোয়া নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে বাঁধ অপসারণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
৬। অতিরিক্ত নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প: আরও ১৫টি নদী পুনরুদ্ধারে সরকার কাজ করছে এবং সেগুলোর জন্য পৃথক কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
৭। নদীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হেলথ কার্ড: নদীর স্বাস্থ্য নিরূপণে হেলথ কার্ড চালু করা হয়েছে, যা নদীর পরিবেশগত অবস্থা পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
#আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট।